অপূর্ব সাহা

গর্ভজাত

অপূর্ব সাহা 



ভোরের আলো ফুটতে তখন কিছুক্ষণই বাকি,  

শুনি খবর, শহর মোর, কালিমাতে গেছে ঢাকি।

অত্যাচারীর নখদন্ত ছিঁড়েছে ফুলের কুঁড়ি

তথ্য-লোপাট, আশ্রয়দাতা -অবক্ষয়ের নাই জুড়ি।।

শাসক তুমি শোষক হলে কোন ছলনার বলে?

ক্ষণেকেই এই ধরিত্রী মা, ডুবলো রসাতলে।

ভেবেছিলে একটা প্রাণের দামই কত? লোক যদি হয় গরিব -

শক্ত হাতে দণ্ড ধরে, পাপের হলে শরিক ।।

মূর্খ তুমি, ভণ্ড তুমি, মুখোশ গেছে খুলে,

নরকগামী হলে তুমি নিজেরই ইচ্ছা, ভুলে।

যত তুমি ধরবে টিপে কণ্ঠ করে রুদ্ধ

আগল তোমার করবো শিথিল, আমরা প্রতিবদ্ধ।।

অবক্ষয়ের শেষের শুরু, হোক না যতই দেরী,

নষ্ট ঘুণের বাসার ‘প্রতীক’ পরাবো তোকে বেড়ি।

গর্জে উঠলো আকাশ বাতাস! ঝলসে উঠলো আলো!

ব্জ্রনিনাদ ঘোষণা করলো ‘জগতের হোক ভালো’।।

মেয়ে বা ছেলে হই না কেন, বুঝি নারীর দান,

তাই তো আমি পণ করছি রাখবোই তার মান।

অবচেতন জাতির নিদ্রা এখন গেছে ছুটি -

হৃদয় মাঝে জাগছে দেখো ‘রাখীর’ প্রতিশ্রুতি।।

স্নেহের স্পর্শ পাই যেথা আজ, করি যে শির নত

বিশ্ব জুড়ে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা জাগ্রত।

ধ্বংস করি নৃশংসতা, বর্বরতার কালি,

রাতের কালো পার করে আজ ভোরের আলো জ্বালি।।

মনের কোণে শুদ্ধি আনি, পরের তরে স্নেহ,

পথচারীরা ঘর খুঁজে পাক, অনাথের হোক গেহ ।

নিশা যাপন সবার তরে - সবাই, আমি, তুমি

জাগছে দেখো অপ- তেজ- মরুৎ- ব্যোম আর ভূমি।।

বিদ্রোহী মন ছুটছে আজি স্বাধীনতার পণ

মানবধর্ম মানবজাতির আসল মূলধন।

আলো মোদের, বাতাস মোদের, মোদের আছে আশা,

এটাই আমার প্রতিবাদের গর্ভজাত ভাষা।।



পাঠকের মতামতঃ